আসসালামু আলাইকুম, অনেকেই ডাক্তারদের প্রশ্ন করেন যে তাদের বাচ্চা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করছেনা।কি করলে তাদের বাচ্চা ঠিকমতো খাবে এবং সঠিক ওজন বাড়বে?
আজকাল এটি খুবই সাধারণ একটি প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে।প্রায় সব মা-বাবাই এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত। তাই আমাদের আজকের বিষয় বাবুর সঠিক ওজন বাড়াতে হলে কি করা উচিৎ। আমরা আজকে এই বিষয়টি নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনেকেই ডাক্তারদের বলেন যে তাদের বাচ্চার জন্য একটি খাবার তালিকা করে দেওয়ার জন্য যার মাধ্যমে তাদের বাচ্চার ওজন বাড়বে।তাই আমরা আজকে আপনাদের জানাবো আপনার বাচ্চার কত বয়সে কত ওজন হওয়া উচিত এবং তার বর্তমান ওজন কত হওয়া উচিত এইটা হিসাব করলেই তার ঘাটতি টা বের হয়ে আসবে।
এই প্রেক্ষীতে একটি উদাহরণ যদি দেওয়া যায় যে আপনার বাচ্চার বয়স দুই বছর এবং আপনার বাচ্চার ওজন সাড়ে আট কেজি।এক্ষেত্রে তাদের কি করণীয়? একজন বাচ্চার দুই বছরে বারো কেজি ওজন হওয়ার কথা তাহলে তার সাড়ে তিন কেজি ওজন ঘাটতি আছে।আপনাকে এইভাবেই শিশুর ঘাটতি বের করতে হবে।অর্থাৎ বিষয়টা হবে আপনার বাচ্চা এখন কোন অবস্থায় আছে এবং আপনি তাকে কোন অবস্থায় নিয়ে যেতে চান।
তাহলে আজ আমরা আপনাদের জানাবো বাচ্চার এই সাড়ে তিন কেজির ঘাটতিসহ তার আনুষাঙ্গিক আর কোনো সমস্যা যেমন রক্ত,থাইরয়েড হরোমনের কোনো সমস্যা আছে কি না,অন্যান্য কোনো জটিল রোগ আছে কি না,এজমা বা হার্টের সমস্যা আছে কি না সেগুলো জানাবো।কারণ আপনার বাচ্চার যদি আলোচিত রোগ গুলোর মধ্যে কোনো একটি রোগে ভুগতে থাকে তাহলে আপনি আপনার বাচ্চাকে যতই খাওয়ান না কেন তার ওজন বাড়বে না।
তাই আমাদের করণীয় হবে বাচ্চাটার শারিরীক কি সমস্যায় ভুগছে এবং তাকে কি ঔষধ দিতে হবে।এগুলো একমাত্র ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ করে খাওয়ানো উচিৎ। কারণ যখন আপনার বাচ্চা যেকোনো একটা রোগে আক্রান্ত হবে তখন তাকে শুধুমাত্র একটি ডায়েট চার্ট দিয়ে সুস্থ করা সম্ভব না।এর জন্য ডাক্তারের নির্দেশনা প্রয়োজন।
আমরা যদি একটি আট কেজি ওজনের বাচ্চার কথা চিন্তা করি তাহলে দেখা যাবে তার সারাদিনে ৮০০ ক্যালরী প্রয়োজন,অর্থাৎ তাকে এই ৮০০ ক্যালরী আপনাকে দিতেই হবে।এগুলো আমরা কিভাবে বাচ্চাকে দিবো সেটাই ডাক্তাররা ডায়েট চার্টে হিসাব করে দেয়।তবে শুধু ডায়েট চার্ট ফলো করলেই হবেনা।কারণ একটি আট কেজির বাচ্চাকে যদি দিনে দুইটা ডিম আর দুই গ্লাস দুধ খাওয়ানো যায় তাহলেই সে প্রায় ৩০০ ক্যালরী পেয়ে যাচ্ছে।
তবে অনেকেই মনে করেন থালা ভর্তি ভাত খাওয়ালেই মনে হয় বাচ্চা পুষ্টি পাবে আসলে কিন্তু সেটা ঠিক নয়।একমাত্র একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারই আপনাকে বলতে পারে যে আপনার বাচ্চার কতটুকু ঘাটতি রয়েছে।
ডাক্তাররা সচরাচর বাচ্চাদের এসব ঘাটতি পূরণের জন্য জিংক,ভিটামিন সিরাপ সাথে আরও কিছু ঔষধ দেয়।তবে কখনোই নিজে নিজে বাচ্চাকে কোনো ঔষধ খাওয়ানো উচিৎ নয়। ঔষধ গুলো অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হবে।
এখন আমরা বলবো কিছু ওজন বাড়ানো খাবারের কথা যেগুলো বাচ্চার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবেঃ
ডিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাওয়ার জন্য।বয়স ভেদে একটি বাচ্চাকে দুই থেকে তিনটা ডিম দেওয়া যেতে পারে।এতে করে সে প্রোটিন ও ফ্যাট দুইটাই পাচ্ছে।
কলা খাওয়ালেও বাচ্চাদের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।যেকোনো রকমের কলা খাওয়ানো যেতে পারে।এছাড়াও ঘি,মাখনও খাওয়াতে পারেন।এই জিনিসগুলো যদি বাচ্চাকে প্রতিদিন দেওয়া হয় তাহলে অবশ্যই আপনার বাচ্চার ওজন বাড়বে।
এছাড়াও সবুজ শাক-সবজি এবং ফল খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন।বিশেষ করে যেসব ফল খোসাসহ খাওয়ানো যায় যেমন আপেল এইরকম জাতীয় ফল খাওয়নোর চেষ্টা করবেন এবং চেষ্টা করবেন যাতে টাটকা সবজি খাওয়ানো যায়।তাহলেই ইনশাআল্লাহ আপনার বাচ্চার ওজন বেড়ে যাবে।
আজ এ পর্যন্তই, পরবর্তীতে আবার নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হবো সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন